দীর্ঘ এক মাস রোজার পর আসছে ঈদ। এ সময় ভালো-মন্দ খাওয়া ধুম পড়ে যায় সবার ঘরেই। এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদের লোভনীয় খাবার খাওয়া এবং খাবার রুটিনে পরিবর্তন আসার কারণে দ্রুত ওজন বেড়ে যেতে পারে।
রোজার মাস জুড়েই কম খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়েছেন অনেকেই। তাই ঈদে বেশি খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুধু খেলেই তো হবে না, ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই ঈদ পরবর্তী সময়ে ওজন বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে কয়েকটি টিপস মেনে চলতে হবে। জেনে নিন সেগুলো-
>> খাওয়ার আগে প্রচুর পানি পান করুন। খাওয়ার আগে অন্তত ২ কাপ পানি খাওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে ৭৫-৯০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করা হয়।
>> ভালো করে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে হবে। অনেকের ধারণা খাবার পেটে গেলে তা হজম হয়! আসলে খাবার মুখে নেওয়ার পর চিবিয়ে খাওয়ার সময় থেকেই তা হজম হওয়া শুরু হয়। মুখের লালাতে এমন এক এনজাইম আছে, যা খাবার গ্রহণ করার আগেই হজম শুরু করে। এজন্য হজম বাড়াতে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে।
>> বেশি ফল এবং পানি খেতে হবে। ফল এবং শাক-সবজিতে থাকা ফাইবার আপনার শরীরকে আর্দ্র রাখবে। সেইসঙ্গে ফল ও শাকসবজিতে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে।
>> শাক-সবজি ও ফল-মূল খেলে মিষ্টান্নের প্রতি আসক্তি কমে। আর যদি মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে করে; তাহলে একটি ফল খেয়ে নিন। কারণ ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ফলের মিষ্টতা আপনার মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা পূরণ করবে।
>> ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সম্পন্ন করুন। এ সময়ের মধ্যে খাবার হজম হয়ে যায়। খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ঘুমালে পেট হালকা হয় এবং ঘুমও ভালো হয়। ঘুমানোর আগে আধা ঘণ্টা হাঁটতেও পারেন।
>> ঈদে প্রচুর পরিমাণে মাংস, বিরিয়ানি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার হয়ে থাকে। তাই খাবারে প্রচুর সালাদ অন্তর্ভুক্ত করুন। মিষ্টান্ন খাবার পরিমাণে কম থাকে। খুব বেশি মিষ্টি খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যেতে পারে।
>> ঈদের দিন ভারী খাবার খেলে এর পরের দিনগুলোতে স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তাহলে ওজন বাড়বে না।
>> অবসর সময়ে এক কাপ লেবুর রস বা গ্রিন টি পান করতে পারেন। এতে বিপাকক্রিয়া বাড়বে। অবশ্যই চা পান করতে হবে চিনি ছাড়া।
> রোজায় অনেকেই আলসেমি করে শরীরচর্চা করেননি। তবে ঈদের পর থেকে নিয়মিত শরীরচর্চা মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ১০৯ মিনিট শরীরচর্চা করুন। পাশাপাশি গৃহস্থলি কাজ করলেও শাররিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
নদী বন্দর / এমকে