ভারতের একটি বেসরকারী সংস্থা ওড়িষ্যা ও কর্ণাটকে দুইটি ভূগর্ভস্থ তেলের মজুদ পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এর আগে সরকারের এই তেল শোধনাগার নির্মাণের কথা ছিলো।
তেলের ঘাটতি কমাতে ও তেলের সহজলভ্যতা বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকার ৫.৩৩ মিলিয়ন টন থেকে তেল মজুদকে দ্বিগুণেরও বেশি ১১.৮৩ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন দুইটি তেলের মজুদ ৪৭.৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুদ রাখতে পারে।
সম্প্রসারণ ও ব্যয় জুন ২০১৮ সাল অনুসারে, অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিএএ) তেল মজুদের দ্বিতীয় ধাপের সম্প্রসারণের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। ওড়িষ্যার চান্দিখোল অপরিশোধিত তেল ধারণের জন্য ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এর খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৯ হাজার ৯৫২ কোটি রুপি। আর কর্ণাটকের উদুপিতে অবস্থিতি তেল শোধনাগারের ধারণ ক্ষমতা ২.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং এর খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি রুপি।
প্রকল্পটি সিসিইএ দ্বারা শীঘ্রই অনুমোদন দেওয়া হবে এবং তারপরে বিড ডাকা হবে। তেলের মজুদ কম্পানিগুলো ৭৪ দিনের যোগান সরবরাহ করবে।
দুইটি তেল শোধানাগারে আটটি সেক্টর থাকবে অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণের জন্য যা বাজারের তুলনায় বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের সুবিধা বেশি দিতে পারবে। প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের সুবিধা হলো সরকার তার প্রয়োজনের সময় অর্থাৎ তেলের যদি ঘাটতি হয় সেক্ষেত্রে ওই তেল ব্যবহার করতে পারবে আর এতে করে লাভবান হবে বেসরকারী পক্ষ। প্রকল্পটির মোটা ব্যয়ের ৬০ শতাংশ দেবে সরকার।
নদী বন্দর / এমকে