তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের সংস্কার ও সম্প্রসারণে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার একটি পুনর্বাসন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-একনেক। এদিকে তিস্তা নিয়ে চীনের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডিতে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটা বাস্তবায়নের আগে এ পুনর্বাসন প্রকল্প যুক্তিযুক্ত নয় বলে মত সংশ্লিষ্টদের। তবে সেচপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসন প্রকল্পকে পরিপূরক দাবি করে বলছে, শিগগির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও শুরু হবে।
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধীতাকারী মমতা বন্দপাধ্যায় আবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে। এতে অভিন্ন এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সম্ভাবনা আবারো অনিশ্চয়তার মুখে। ঠিক এ সময় তিস্তা সেচ প্রকল্পের সংস্কার ও সম্প্রসারণে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার তিস্তা পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় হতাশা প্রকল্প এলাকায়।
মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলছেন, এটা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো।
তিনি বলেন, তিস্তা নদী খননের যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার, সাড়ে আট হাজার টাকার ব্যয়ে- সেটাই কিন্তু কার্যকর করা জরুরি। এটা না করে এ খাল খননের যে প্রোগাম ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার সামিল বলে আমার কাছে মনে হয়।
বিকল্প নয় বরং প্রকল্প দুটি একটি অপরটির পরিপূরক দাবি করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণাও শিগগিরই আসছে বলে জানান, সেচ প্রকল্পের পরিচালক।
উত্তরাঞ্চল ও প্রকল্প পরিচালক, তিস্তা সেচপ্রকল্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাচাইবাছাই করছে খুব শিগগিরই একটা নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
তিস্তা খননের মাধ্যমে নাব্য ফেরানো, দুই তীরে স্থায়ী প্রতিরক্ষার মাধ্যমে বিপুল ভূমি উদ্ধার করে সেখানে শিল্প ও অর্থনৈতিক জোন, টাউনশিপ গড়ে তোলার পাশাপাশি বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ৮ হাজার ২শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
নদী বন্দর / এমকে