ঈদে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে গাজীপুর থেকে ছেড়েছে দূরপাল্লার বাস। এখন আবার যাত্রী নিয়ে ফিরছে বাসগুলো। রাস্তায় আটকালেও যাত্রীদের আপত্তি এবং নারী ও শিশুদের কথা চিন্তা করে বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ।
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে দূরপাল্লার বাসের বিরুদ্ধে রোববারও (১৬ মে) পুলিশ ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। এদিন বিভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহন অহরহ চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার (১৭ মে) থেকে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। জেলার প্রবেশমুখ জৈনাবাজার থেকে ঢাকাগামী সব ধরনের গণপরিবহন ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দূরপাল্লার ৯৭টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও ১০টি গাড়ি ডাম্পিং করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঈদের ছুটি শেষে গাজীপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া লোকজন কর্মস্থলে ফিরছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল। রোববার বিকাল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গাজীপুর মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ধরনের ৪৫টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে আরও ১০টি গাড়ি ড্যাম্পিং করা হয়।
গাজীপুর মহানগরীর সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কালিয়াকৈর, চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার ৪৬ বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চারটি গাড়ি আটক করা হয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-চৌরাস্তায় রোববার সন্ধ্যায় দূরপাল্লার বাস যাত্রী নিয়ে চলাচলের চেষ্টা করলে ছয় বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক সার্জেন্ট জানান, কিছু বাস মালিক ও চালক সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঈদের আগের দুদিন ও ঈদের পরের দিন দূরপাল্লার যানবাহন চালিয়েছে। আমরাও কিছুটা নমনীয় ছিলাম। বিভিন্ন মিডিয়ায়ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের খবর প্রচারিত হচ্ছিল। এখন দেখছি পুলিশের নমনিয়তাকে পরিবহন মালিক ও চালকরা দুর্বলতা ভেবেছে। সে জন্য ঊর্ধ্বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দূরপাল্লার যেসব বাস চলাচলের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নদী বন্দর / পিকে