ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিপর্যয়ের ক্ষত এখনো পুরোপুরি কাটেনি। আম্পানের বছরখানেকের মাথায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আবারও ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আগামী ২৩-২৫ মে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। বুধবার (১৯ মে) এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে সতর্ক করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বাংলাদেশও।
কেন্দ্রের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরির শঙ্কা রয়েছে। ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৫ মে মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এ ছা়ড়া কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, শঙ্করপুরের মতো সামুদ্রিক এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’।
সতর্কবার্তায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরসহ বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য এলাকার ওপরে ২২ মে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। তার পরের ৭২ ঘণ্টায় ওই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। সেটি পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িশা উপকূলবর্তী এলাকার এগোতে পারে।
এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও বা ভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। তবে রোববার থেকেই আন্দামান এবং তার আশপাশে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোনও কোনও জায়গায় হাওয়ার গতি ঘণ্টা প্রতি ৫০-৬০ কিলোমিটার বা সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটারও হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূলেও।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
নদী বন্দর / জিকে