জ্যৈষ্ঠের শুরুতে গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। গরমের তীব্রতা আরও দুইদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলেছেন, আগামী ২২ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে ২৫ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) গ্রীষ্মের দ্বিতীয় মাস জ্যৈষ্ঠের ৬ তারিখ। সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে মেঘ-রোদের লুকোচুরি খেলা। ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টটা বেশি।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ‘মূলত ২২ মে’র পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। কারণ তখন বৃষ্টি বাড়বে। এরমধ্যে এখন তাপমাত্রা যেরকম আছে অনেকটা সেই রকমই থাকবে, অল্প-সল্প বৃষ্টিও হবে। তবে আগামী ২৫ থেকে ২৬ তারিখের (মে) দিকে বৃষ্টিটা আরও জোরালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি সিস্টেম ডেভেলপ (লঘুচাপ) করার কথা রয়েছে। যদিও সেটি ভারতে যায়, এর থেকে যে মেঘ হবে সেটা থেকে বাংলাদেশে কিছু বৃষ্টি হবে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে সেটি পর্যবেক্ষণ করে বলা যাবে তা আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি-না। আগামী ২২ মে’র দিকে লঘুচাপটি সৃষ্টি হওয়ার কথা।’
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, ‘গতকালের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ (বৃহস্পতিবার) আরও কিছুটা কমতে পারে।’
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৯ ডিগ্রি। একদিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে তা, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা কমলেও আর্দ্রতাসহ অন্যান্য বিষয়ের কারণে গরম অনুভব বেশি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শাহনাজ সুলতানা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী জেলাসহ রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
নদী বন্দর / পিকে