ভিন্ন এক শহর গড়ে উঠছে পদ্মার পাড়ে। সেতু হয়ে গেলে বিনিয়োগের পাশাপাশি এ অঞ্চলে তৈরি হবে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। বিশেষ করে পদ্মা সেতুর দেশি-বিদেশি কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আধুনিক সুবিধাসংবলিত সার্ভিস এরিয়াগুলোকে খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ে অন্যরকম এক চাঞ্চল্য। মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। সেতু চালুর আগেই এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তুলছে অনেক বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি এখানে তৈরি হচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনাও।
এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া এ অঞ্চলের পর্যটনে যোগ করবে চমৎকার আবাসিক সুবিধা। দেশি-বিদেশি যে প্রকৌশলী, পরামর্শকরা সেতুর কাজ করছেন, তাদের আবাসন সুবিধা দিতেই মূলত এ সার্ভিস এরিয়াগুলো তৈরি করা হয়েছে। পদ্মার দুই পাড়ে অর্থাৎ মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে পৃথক তিনটি সার্ভিস এরিয়া তৈরি করা হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি সার্ভিস এরিয়ায় মূল সেতু, নদীশাসন ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা থাকছেন। ৩ নম্বর সার্ভিস এরিয়াতে থাকছেন সেতুর কাজে নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তারা। বর্তমানে এ তিনটি সার্ভিস এরিয়া দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের আবাসন ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হলেও সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এগুলোকে ঘিরে পর্যটন সুবিধা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত কর্মকর্তারা সার্ভিস এরিয়া ওয়ানে থাকবেন। কিন্তু সার্ভিস এরিয়া টু নির্মাণ করার সময়ই পর্যটনের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প শেষ হওয়ার পর সেতু মেইটেন্যান্সের জন্য অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে সেখানে থাকতে হবে। আর সার্ভিস এরিয়া টুতে পর্যটনের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে।
৭৭ হেক্টর এলাকাজুড়ে নির্মিত সার্ভিস এরিয়া টু এ আবাসনের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য থাকছে মেডিকেল সেন্টার, টেনিস গ্রাউন্ড, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, সুইমিংপুল, সাবস্টেশন, সুপেয় পানির ওয়াটার ট্যাংকসহ নানা সুবিধা।
নদী বন্দর / এমকে