টানা ১ মাস ১৮ দিন বন্ধ থাকার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আবারো শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। লঞ্চ সচল হওয়ায় এ নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী চাপ ও ভোগান্তি দুটিই কমেছে।
সোমবার (২৪ মে) সকাল থেকে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ৭টায় শিমুলিয়াঘাট থেকে বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় কয়েকটি লঞ্চ। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকেও লঞ্চ শিমুলিয়াঘাটের দিকে আসছে। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চেই মানা হচ্ছে না সে নিয়ম। তবে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কিছুটা কম যাত্রী নেয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরগামী যাত্রী তাইজুল ইসলাম বলেন, সরকার সব নৌরুটে লঞ্চ চলাচলের আদেশ দিয়েছে। আসলে করোনা যাদের হওয়ার তাদের ঠিকই হবে। দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
আরেক যাত্রী নূর বাহার বলেন, ‘লঞ্চ আবার চালু হয়েছে। লঞ্চ দিয়েই এখন চলাচল করবো। ফেরিতে গেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে যেতে হয়’।
আনোয়ার হোসেন নামের লঞ্চ কর্মচারী বলেন, ‘এতদিন কাজ না থাকায় ধার-দেনা করে কোনোরকমে চলেছি। আজ থেকে লঞ্চ চলছে। ফলে কম বেশি যাই হোক টাকা তো আয় হবে’।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেমান জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে বিধিনিষেধ মেনেই লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এরআগে সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করেছিল। ৫ এপ্রিল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়।
এদিকে লঞ্চ ছাড়াও নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়ে বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র। তবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী একবারেই কমে গেছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষা তেমন যানবাহনও নেই। যেসব যানবাহন আসছে সেগুলো সহজেই ফেরিতে উঠতে পারছে।
নদী বন্দর / এমকে