ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের বেশ কয়েকটি পাকা স্থাপনার আংশিক ধসে পড়েছে।
উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। সৈকত লাগোয়া প্রায় শতাধিক আচার, ঝিনুক, আলোকচিত্রী ও শুঁটকির দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে সৈকতের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা অসংখ্য ঝুপড়ি ঘর।
কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেট সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ জানান, কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেটে ৩০টির বেশি দোকান ছিল। কিন্তু এখন মাত্র ৩টি দোকান দাঁড়িয়ে আছে। বাকিগুলো সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সী বিচের প্রায় ৫০টির বেশি স্টুডিও বিলীন হয়ে গেছে।
ক্যামেরাম্যান মো. শামিম ওসমান বলেন, একদিকে করোনায় কোনো ট্যুরিস্ট নেই। এরপরে আবার ইয়াসের ধাক্কা। আমাদের এখন বেঁচে থাকাই দায়।
দীর্ঘদিন সৈকতের পাশে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা সাজেদা খাতুন (৭০) জানান, আগে তিনি রাস্তা থেকে অনেক দূরে ছিলেন। সাগর ভাঙার কারণে সরতে সরতে এখন একেবারে রাস্তার পাশে তার ঘর চলে এসেছে।
তবে সৈকতের ভাঙন ঠেকাতে প্রতিরক্ষা কাজ চলমান থাকায় ক্ষতি অনেকটা কম হয়েছে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের।
প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈকত সুরক্ষায় জিও টিউব দিয়ে অস্থায়ীভাবে সৈকত রক্ষার চেষ্টা চালায়। যেটা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে বা জোয়ারের কারণে প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তাই সৈকত রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
নদী বন্দর / পিকে