শখের বসে কবুতর পালন শুরু করেন পিরোজপুরের মো. রাশেদ খান। আর এ শখই এখন রুপ নিয়েছে বাণিজ্যিক খামারে। বর্তমানে যা থেকে ভালো উপার্জন করছেন তিনি।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই কবুতর পালনের শখ ছিল পিরোজপুর পৌরসভার খানাকুনিয়ারি এলাকার রাশেদ খানের। ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় বসবাস করলেও কবুতর পালন বন্ধ করেননি তিনি।
ছয় বছর আগে ঢাকার ব্যবসা ছেড়ে এ শখকে পুঁজি করেই পিরোজপুরে খামার গড়ে তুলেন রাশেদ। বর্তমানে তার খামারে ৪০০ গিরিবাজ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য চার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তার কবুতরগুলোর মধ্যে রয়েছে চুইনা, মার্কসি, জিরাগলা, সবুজগলা, লালগলা, বেনারস ও পাঙ্খি প্রজাতির কবুতর।
এ কবুতরগুলো পালনের জন্য নিজ বাড়ির দ্বিতীয়তলায় তিনি তৈরি করেছেন আলাদা খামার। আর সেগুলোকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই দিচ্ছেন নিয়মিত চিকিৎসাসহ অন্যান্য খাবার।
এদিকে রাশেদের খামারের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে কবুতরপ্রেমীরা ছুটে আসেন কবুতর কেনার জন্য।
ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, ঢাকার ব্যবসা ছেড়ে কবুতরের খামার করেছি। কবুতর পালন করে অল্প পুঁজিতে অতি সহজেই বেকারত্ব দূর করা যায়। অন্যান্যরাও আমার মতো খামার করে সফল হতে পারেন।
প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পিরোজপুর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০০টি কবুতরের খামার রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা রাশেদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি এতে উদ্বুদ্ধও হচ্ছেন।
পিরোজপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মো. শহিদুল ইসলাম সিকদার বলেন, রাশেদের মতো অন্য যুবকরাও কবুতর পালনে এগিয়ে আসলে স্বাবলম্বী হতে পারবে। এছাড়া এতে তারা মাদক থেকেও দূরে থাকবে।
নদী বন্দর / পিকে