নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় নাজমুস সাকিব নাবিল (২০) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মা নাসরীন আক্তারের (৪৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (৩১ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিল মারা যান।
এর আগে রোববার (৩০ মে) রাত ৯টায় আহত অবস্থায় তাকে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত নাজমুস সাকিব নাবিল দারুননাজাত কামিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে নাবিলের বাবা বাসায় ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করে নাবিলকে আহত অবস্থায় দেখেন।
নিহতের বাবা সগীর আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা ছিল। প্রায়ই সে রাগারাগি করে বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। এ ঘটনা কীভাবে ঘটেছে তা আমি নিশ্চিত নই। আমার স্ত্রী এ কাজ করে থাকতে পারে’।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ