নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মহিম খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় ১০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় এই সেতু।
সেতুটি নির্মাণের ১৭ বছর পার হলেও আজও সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুর ওপর দিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। দুর্ভোগ লাঘবে ২০০৪ সালে মহিম খালের ওপর ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়। তবে সেতুটির এক পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। সেতুটি পার হয়ে গ্রামের মানুষ উপজেলা সদর, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট-বাজারে যাতায়াত করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সংযোগ সড়কের জায়গায় সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাস্য ঘাগ্রা বলেন, এই সেতু দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে পণ্য পরিবহন করত। সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদের এই সাঁকো দিয়ে পার হয়ে হাসপাতালে যেতে খুব কষ্ট হয়।
স্থানীয় নলছাপ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুপোতী ঘাগ্রা বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, সংযোগ সড়ক করে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হবে। সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেই সেতু দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেতুর সংযোগ সড়কটি করে দেয়া হবে।
নদী বন্দর / পিকে