কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খটকপুরের গ্রামের একটি বাড়িতে ১৫ জাতের আমের চাষ করা হয়েছে। গাছগুলোতে এবার প্রচুর আম ধরেছে। এসব আম দেখতে মানুষ ভিড় করছেন।
প্রবাসী খলিলুর রহমানের বাড়িতে আমগুলোর চাষ করা হয়েছে।
জাতগুলো হচ্ছে-আশ্বিনা,আম্রপালি, বারি-৪, ল্যাংড়া, ব্যানানা ম্যাঙ্গোসহ বিভিন্ন জাত।
ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুই থেকে তিন হাত উচ্চতার গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় আম। আমের ভারে যেন ডালগুলো নুইয়ে পড়ছে। কিছু আমের ওজন এক কেজির কাছাকাছি। বাড়িতে ১৫টি জাতের শতাধিক গাছ রয়েছে।
প্রতিবেশী কামাল হোসেন বলেন, ‘এরকম আম শহরের ফল দোকানে দেখেছি। এই এলাকায় এরকম আম আর চাষ হয়নি। এই বাড়িতে আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমগুলো দেখতে সুন্দর লাগছে।’
প্রবাসী খলিলুর রহমান বলেন, ‘শখ করে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের আমচাষ করেছি। আমের চারা বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে জৈব পদ্ধতিতে কীট দমন করা হয়েছে। নিজের বাড়িতে চাষ করা বিভিন্ন জাতের নিরাপদ আম পেয়ে ভালো লাগছে। এই সব আম খেতেও বেশ মিষ্টি।’
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভুইয়া বলেন, খলিলুর রহমানের বাড়িতে কিছু খালি জমি পড়ে ছিল। সেখানে আমসহ বিভিন্ন ফলের চাষের জন্য তাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। তিনি ১৫ জাতের আমসহ মাল্টা, করমচা, জামরুল, কমলা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়েছেন। এবার প্রথম তার আমের ফলন এসেছে। আমগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু। তার দেখাদেখি অন্য প্রতিবেশীরাও এই রকম আম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।