আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আলাদা তিনটি স্থানে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরণে স্থানীয় একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়। তিনটি বোমা হামলার মধ্যে অন্তত দুটি আদিবাসীগোষ্ঠী হাজারা সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে, এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
মঙ্গলবার, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় হাজারা নেতার বাসভবনের বাইরে একটি শিয়া মসজিদের সামনে, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরই বাইরে একটি মিনিভ্যান লক্ষ্য করে চালানো হয় দ্বিতীয় হামলাটি। এতে ঘটনাস্থলেই হতাহত হন বেশ কয়েকজন। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন পথচারীরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মিনিভ্যানটিন বাস স্টপের কাছাকাছি পৌঁছাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণটি ঘটে। গাড়ির মধ্যে থাকা প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। পুলিশের তিনটি গাড়ি এসে ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, দুটি হামলাই স্থানীয় আদিবাসীগোষ্ঠী হাজারা সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও হামলার বিস্তারিত সম্পর্কে তেমন কিছু জানাননি তিনি। হামলার পরপরই পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে পুলিশ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় হতাহতদের। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
প্রথম দুটি হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় কাবুলের উত্তরাঞ্চলে চালানো হয় তৃতীয় হামলাটি। এতে স্থানীয় একটি পাওয়ার গ্রিড স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই একের পর এক হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর আগে গেল মাসে রাজধানী কাবুলের হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকার একটি স্কুলের বাইরে সিরিজ বোমা হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৯০ জন। যাদের বেশির ভাগই ছিলেন স্কুল শিক্ষার্থী।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানে অবস্থানরত সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
নদী বন্দর / এসকে