ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সুন্দরবনে লবণাক্ত পানি ঢুকে সুপেয় পানির উৎসগুলো নষ্ট হওয়ায় হুমকির মুখে বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য। এ অবস্থায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দ্রুত পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বনরক্ষী ও বন সংশ্লিষ্টরা। তবে মিষ্টি পানির পুকুরে ঢুকে পড়া লবণপানি অপসারণ ও প্রাণীর আবাসস্থল উঁচু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে যে সুন্দরবন ঢাল হয়ে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে সেই বনই আজ ক্ষতির মুখে পড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। ফলে লবণাক্ত পানি সুন্দরবনের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ সুপেয় পানির উৎস্য পুকুরগুলোতে ঢুকে পড়ায় জেলে, বাওয়ালি, বনরক্ষীদের খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। দ্রুত পানি অপসারণ ও আরো পুকুর খনন ও বন্য প্রাণী সুরক্ষায় বনের মধ্যে উঁচু টিলা তৈরির দাবি জানিয়েছেন বনের সংশ্লিষ্টরা। সব শেষ জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে দেড় লাখ হরিণ, ১১৪টি বাঘ, ২৫ হাজার বন্য শূকর, বানর ৫০ হাজার, ৩১৫ প্রজাতির পাখি ও ২৫ হাজার ও ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
বনের মধ্যে প্রাণীদের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করে বলেন সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।
পুকুরগুলো থেকে লবণ পানি অপসারণ করে মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করা ও বনের মধ্যে প্রাণীদের সুরক্ষায় উঁচু টিলা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটারে ৮০টি মিষ্টি পানির পুকুর রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে