পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় নবনির্মিত ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায়। ফলে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে ফেরি ঘাটসহ অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও দোকানপাট।
পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে দৌলতদিয়ার মানচিত্র। গত কয়েকদিনের ওই এলাকার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মিটার নদীর তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধ ও ফেরি ঘাট রক্ষায় ওই এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
তবে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ও অন্যান্য ফেরি ঘাটের অংশে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঘাট রক্ষার্থে কোটি কোটি টাকার কাজ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি)। এবার ভাঙন রোধে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ২২ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলবে বিআইডব্লিউটিএ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
৭ নম্বর ফেরি ঘাটের নদী তীরবর্তী বাসিন্দা জাহানারা বেগম, জাফর সরদার, সালেহাসহ কয়েকজন জানান, কয়েকবার তাদের বাড়ি নদীতে ভেঙেছে। এবার ভাঙলে আর যাবার জায়গা নাই। ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় যে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে কয়েকদিনে তাদের বাড়ি নদীতে চলে যাবে। কিন্তু এ এলাকায় এখনো ভাঙন রোধে কোনো কাজ শুরু হয়নি। বর্ষা শুরু হলে বস্তা ফেলা হয়।
তাদের মতে, বস্তাগুলো শুকনো মৌসুমে ফেললে এতটা ভাঙতো না। মেম্বর চেয়ারম্যানকে বলেও ফল পাচ্ছেন না তারা।
বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, দৌলতদিয়ার ঘাট রক্ষায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে। ঘাট এলাকার যেখানে ক্ষতি হবে, সেখানেই জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এ মৌসুমে ঘাট এলাকায় প্রায় ২২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া সহকারী ঘাট ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, ‘৭ নম্বর ফেরি ঘাট চালুর থেকেই ভাঙন রয়েছে। ঘাটটি ড্রেজিং করে চালু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তখনই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া অন্য ঘাটগুলোতে কোনো সমস্যা নাই।
নদী বন্দর / বিএফ