মলা ও তেলাপিয়া মাছের তরকারি অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করেন। এই মাছ অনেক পুষ্টিকর ও সহজে চাষ করা যায়। আমাদের দেশের প্রায় সব বাজারেই এই মাছ পাওয়া যায়। অনেক শিক্ষিত বেকার এই মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবার জেনে নিন মলা মাছের সাথে তেলাপিয়ার চাষ পদ্ধতি।
আগে যে বিষয় জানতে হবে
*পুকুরে প্রথমে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর এর তেলাপিয়া ছাড়তে হবে।
*মলা বড় হলে তা জাল টেনে ধরে বিক্রি করে দিতে হবে।
*মলা মাছে লাভের পরিমাণটাও অনেক বেশি হবে।
*মলা মাছের চাষের সময়কাল কম।
যেভাবে মলা ও তেলাপিয়া চাষ করবেন
প্রথমে পুকুরে বিষটোপ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তারপরের দিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশ প্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ৬ থেকে ৭ দিন পর শতাংশ প্রতি ০.৩ মি.লি. পিপিএম হারে সুমিথিয়ন দিয়ে তার একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেনু দিতে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেনু দিতে হবে।
রেনু ছাড়ার পর থেকে ডিম সিদ্ধ করে ২ দিন খাওয়ানোর পর তৃতীয় দিন থেকে নার্সারি পাউডার ৪ ঘণ্টা আগে থেকে ভিজিয়ে দিনে দুইবার ( সকাল দশটায় একবার বিকেল পাঁচ টায়) দিতে হবে। এভাবে ২৫ থেকে ৩০ দিন রেনুকে খাওয়ালে পরে ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি সাইজে পরিণত হবে। তারপর এই মলা মাছের উপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।
মলা মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। তেলাপিয়ার বাজারজাত হবে আরও পরে। ঠিকভাবে পারিপালিত হলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।
এভাবে মলা মাছের বয়স ৯০ দিন হলে পরে আনুমানিক ৯০% মলা বিক্রি করে দিয়ে ১০% মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়াকে সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত। কারন শতাংশ প্রতি তেলাপিয়া ৫০ কেজি উৎপাদন হয়ে গেলে আর বেশি একটা উৎপাদন হয় না সাধারণ পদ্ধতিতে।
নদী বন্দর / বিএফ