‘কিরে ভাই আইজ দাম সাত হাজার টাকা চাইতাছেন কেন্? সেদিনও তো পাঁচ হাজার টাকা ‘শ’ (একশটি) কিনলাম।’ মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে পাইকারি বিক্রেতাকে এ প্রশ্ন করছিলেন খিলগাঁওয়ের ফল ব্যবসায়ী আবু তাহের মিয়া।
উত্তরে বিক্রেতা বলেন, ‘আইজ সকালে বৃষ্টি অইছে, কাঁঠালের আমদানি কম, চাহিদা বেশি। এ কারণে দামও বেশি।’ বেশ কিছুক্ষণ দর কষাকষির পর ১০০টি কাঁঠাল ছয় হাজার টাকায় কিনে ভ্যানে তুললেন আবু তাহের মিয়া।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আবু তাহের মিয়া জানান, কাঁঠালের ভরা মওসুম হলেও হঠাৎ করে আজ দাম কাঁঠালপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেড়ে গেছে। আজ আষাঢ়ের প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতার সমাগম বেড়ে যাওয়াই দাম বৃদ্ধির কারণ। বেশি দামে ক্রয় করায় তাকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে বলে তিনি জানান।
সরেজমিন কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিভিন্ন ছোট-বড় আকারের প্রচুর কাঁঠালের সরবরাহ রয়েছে। বেশিরভাগ কাঁঠালই টাঙ্গাইল ও গাজীপুর থেকে আসা। পাইকারি ও খুচরা দুই দামেই কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। আজ সকালে বৃষ্টি হওয়ায় পাইকারির পাশাপাশি খুচরা ক্রেতাদের কাঁঠাল কিনতে দেখা যায়।
শাহ আলম নামে একজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘বৃষ্টি হলে কাঁঠালের চাহিদা বেড়ে যায়। মানুষ বৃষ্টির দিনে কাঁঠাল খেতে বেশি পছন্দ করে।’
গ্রীনরোডের বাসিন্দা আবদুস সোবহান নামে একজন ক্রেতা ১০০ টাকায় একটি মাঝারি আকারের কাঁঠাল কেনেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, পাড়া-মহল্লায় একই কাঁঠাল ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ানবাজারে মাছ ও শাকসব্জি কিনতে এসে একটি কাঁঠালও কিনে নিয়েছেন বলে জানান।
বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে এই কাঁঠালের পাইকারি দাম ৬০-৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, ৬০-৭০টাকা দামে কেনার পর ভ্যান বা পিকআপের ভাড়া, পাড়া-মহল্লায় আরও অন্যান্য খরচসহ খুব বেশি লাভ থাকে না। বৃষ্টির দিনে কাঁঠাল বেশি বিক্রি হয় বলে তারা জানান।
নদী বন্দর / সিএফ