তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। বিপৎসীমা অতিক্রম করলে ডালিয়া পয়েন্ট সংলগ্ন নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, রামু, মহেশখালী, কুতুবদিয়া সদর উপজেলাগুলোয় আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
রোববার (২০ জুন) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তারা বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নীলফামারী ও কক্সবাজারের এসব অঞ্চলে বন্যা হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলে ওই অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।’ তিস্তার পানি কেন বাড়ছে তা জানাননি তিনি।
আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের মাতামুহুরী, বাটখালীসহ সেখানকার নদীগুলোর পানি বাড়লে এ জেলারও বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিতে পারে।’
সংস্থাটি আজকের পূর্বাভাসে বলেছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ফলে এই সময়ে এ অঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা হতে পারে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু, মহেশখালী, কুতুবদিয়া সদর উপজেলাগুলো এ সময়ে আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বাড়তে পারে এবং ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
নদী বন্দর / সিএফ