দিনাজপুরে লিচুর ফলন কম হওয়ায় দাম চড়া। বাগানের মালিকরা জানান, আকৃতি ও গুণাগুণ অনুযায়ী বর্তমানে বাজারে প্রতি হাজার বেদানা লিচু ৬-৮ হাজার টাকা, চায়না-থ্রি লিচু ৮-১০ হাজার এবং বোম্বাই লিচু ৩-৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে মাদ্রাজি লিচু শেষ। অন্যান্য লিচুও শেষের পথে। বর্তমানে বাজারে বেদানা, চায়না-থ্রি ও বোম্বাই লিচুর আমদানি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ১০ বছর আগেও দিনাজপুরে লিচু চাষের জমির পরিমাণ ছিল দেড় হাজার হেক্টর। বর্তমানে তা ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৪৮৪ মেট্রিকটন। বর্তমানে প্রতি হেক্টরে ৫ টন লিচু ফলন হয়েছে। সে হিসেবে উত্পাদন হবে ২৭ হাজার ৫৫০ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী আরো জানা যায়, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লিচুবাগান রয়েছে বিরল উপজেলা। এখানে ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। পার্বতীপুরে লিচুর চাষ হয়েছে ৫৭৫ হেক্টর ও চিরির বন্দরে ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।
দিনাজপুর সদরে পাঁচবাড়ী এলাকার বাগান মালিক আব্দুল মালেক জানান, গতবারের চেয়ে এবার ৫০ শতাংশ ফলন কম হয়েছে। ফলন কম হওয়ায় বাজারে লিচুর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য দাম চড়া। সদরের মাসিমপুর এলাকার আরেক বাগান মালিক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার তিন বিঘার বাগানে এবার লিচু কম ধরেছে, তারপরও বাজারে লিচুর দাম ভালো পেয়েছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘এবার লিচুর ফলন কম হলেও চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। লিচুর চাহিদাও বাজারে বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কারণে মাটি থেকে গাছের খাদ্য সংগ্রহ বিঘ্নিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারই লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। দিনাজপুরের লিচু আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা নিয়েছি।’
নদী বন্দর / পিকে