আঁশফল বা কাঠলিচু ক্রান্তীয় অঞ্চলের গাছ। এটি লিচু জাতীয় খুবই সুস্বাদু ফল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ। কাঠলিচু ফল গাছ মধ্যম আকারের চিরসবুজ গাছ। ফলবিহীন গাছ দেখলে মনে হবে লিচুগাছ।
জন্মস্থান: এ ফলের জন্মস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে হলেও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় এ গাছ দেখা যায়। ৬ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ছোট করেও রাখা যায়।
পরিচিতি: আঁশফল স্থানভেদে কাঠলিচু, ছোট লিচুু বা লংগান নামেও পরিচিত। তবে আভিধানিক নাম আঁশফল। এ ফল ও লিচু গাছের ফল ধরার সময় একই। ফল দেখতেও অনেকটা লিচুর মতো, গোলাকার। বীজও গোলাকার। তবে আকারে ছোট, রসাল অংশ খুবই কম। লিচুর চেয়ে আমিষের পরিমাণ বেশি।
প্রাপ্তিস্থান: বাণিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও গ্রামের হাট-বাজারে আঁশফল বিক্রি হতে দেখা যায়। আমিষগুণে ভরা এ ফলের কদর থাকলেও পরিচিতি কম। শহরাঞ্চলেও আঁশফল গাছ দেখা যায়। তবে শহরের অনেকেই জানেন না, এ ফল খাওয়া যায়।
চাষপদ্ধতি: এর গাছ গরম ও ঠান্ডা দুটোই সহ্য করতে পারে। চাষের জন্য বিশেষ কোনো মাটির প্রয়োজন হয় না। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। এ গাছ সাধারণত ছায়াবৃক্ষ হিসেবে বেশি পরিচিত। ফলনের সময় আগস্ট-সেপ্টেম্বর।
পুষ্টিগুণ: এ ফলে প্রচুর শর্করা, ভিটামিন-সি এবং খনিজ উপাদান আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম অংশে-
• ৭২ গ্রাম পানি
• ১০৯ কিলোক্যালরি শক্তি
• ৮.০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি
• ২৮০ আইইউ ভিটামিন-এ
• ২.০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
• ৬.০ মিলিগ্রাম ফসফরাস
• ১.০ গ্রাম প্রোটিন
• ০.৫ গ্রাম ফ্যাট বিদ্যমান।
ভেষজগুণ: কাঠলিচুর শুকনো শাঁস পাকস্থলীর প্রদাহে, অনিদ্রা দূর করতে এবং বিষের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গাছের পাতা এলার্জি, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
নদী বন্দর / সিএফ