মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে পাইকারি আড়তে মরিচের দাম নেই। মরিচ তোলা এবং পরিবহন খরচ ৭ টাকা হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকায়। তাই রাগে-কষ্টে কেউ কেউ মরিচ বিক্রি না করে ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিন না তুললে ফলন কমে যাবে বলে বাধ্য হয়ে মরিচ তুলতে হচ্ছে কৃষকদের। এখন আবার করোনার কারনে লকডাউন।
সরেজমিনে জেলার অন্যতম বড় মরিচের পাইকারি বাজার ঝিটকাতে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ঠিকমতো মরিচ তুলতে না পারলেও অল্প কিছু মরিচ নিয়ে আসছেন। সেই মরিচেরও দাম পাচ্ছে না তারা।
অনেকে বিক্রিও করতে পারছেন না। তাই ন্যায্যমূল্য এবং ক্রেতা না পেয়ে ক্ষোভে দুঃখে অনেকে মরিচ বিক্রি না করে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফফার জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আগের চেয়ে উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিলে আমরা এ সমস্যা থেকে উতরাতে পারবো বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
নদী বন্দর / পিকে