কিছুদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহ আপাতত কেটে গেছে। কিন্তু আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবার শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে দেশে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। একদিনের মধ্যেই তা দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার তা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে হবে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে হবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাত্র একটি জায়গায় এসেছে; তেঁতুলিয়ায়। সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের একটি পকেট এলাকার মতো। মাত্র একটি স্টেশনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও আমরা সেটাকে আর শৈত্যপ্রবাহ বলি না। একটি অঞ্চলে দুটি বা তিনটি স্টেশনে হলে তখন আমরা শৈত্যপ্রবাহ বলি।’
তেঁতুলিয়া ছাড়াও দেশের সব স্টেশনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নাজমুল হক আরও বলেন, ‘এখন আকাশে মেঘ রয়েছে। আকাশে মেঘ থাকলে রাতের তাপমাত্রা বাড়ে, দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আমরা বলেছি, দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়ে গেছে। আজকে আর রাতের তাপমাত্রা বাড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘এখন যে মেঘটা রয়েছে, এটা কেটে গেলেই তাপমাত্রা আবার কমতে থাকবে, দেখা দেবে শৈত্যপ্রবাহ। তাই আমরা বলছি, আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা কমবে। তবে এই মাসের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারির মধ্যেই থাকবে।’
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী আববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
নদী বন্দর / এমকে