খুলনার তিন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাঁচজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে তিনজন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাটের রামপালের লাবলী আক্তার (৪২), খুলনা সদরের মনি খন্দকার (৪০), বাগেরহাট সদরের ফারুখ আহমেদ (৭০) ও যশোরের কেশবপুরের মশিউর রহমান (৬৫) মারা যান। একই হাসপাতালে উপসর্গে মৃত্যুবরণ করেছেন।
৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে সকাল পর্যন্ত ১৮৩ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে রেড জোনে একশ’ জন, ইয়োলো জোনে ৩৫ জন, আর আইসিইউতে রয়েছেন ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর খালিশপুরের চান মিয়া (৬৯), পাইকগাছার আব্দুল কালাম (৪৬) ও নগরীর হাজী মহসিন রোডের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক খোকা (৭৪) মারা যান।
এ ছাড়া এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬ জন। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ৩৬ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে যশোরের নওয়াপাড়ার পায়রা বাজারের আব্দুল হামিদ (৭০), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ফুকরা এলাকার মরিয়াম বেগম (৭০), নড়াইল সদরের মাগুরা এলাকার আব্দুল বারী (৬৩) ও একই এলাকার তুলারামপুরের জিয়াউর রহমান (৩৮) মারা যান।
এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। আইসিইউতে রয়েছেন ছয়জন আর এইচডিইউতে আছেন আটজন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২০ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ শনাক্ত হয়। যার মধ্যে খুলনার ৫০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৯৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
নদী বন্দর / সিএফ