ব্যাংক খোলা রেখে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ব্যাংক খোলা থাকায় শেয়ারবাজারের লেনদেনও চলবে। তবে লেনদেনের সময় কয় ঘণ্টা হবে তা ব্যাংকিং লেনদেনের ওপর নির্ভর করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া আছে, ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় আছি। যদি ব্যাংক খোলা থাকে তাহলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের লেনদেনের সময়ের ওপর নির্ভর করে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হবে।’
এদিকে বুধবার (৩০ জুন) বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ দিলে ব্যাংক লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
এরপর ব্যাংকের লেনদেন আধাঘণ্টা বাড়ানো হলে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় আধাঘণ্টা বাড়িয়ে সাড়ে ১২টা নির্ধারণ করা হয়। তবে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আটদিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলে প্রথমে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
এরপর ৫ মে থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করা হয়। তারপর কিছু ছাড়া দিয়ে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হলে ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়। তার প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ৩১ মে থেকে ব্যাংক লেনদেনের সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় বাড়িয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক নিয়মে ফেরে শেয়ারবাজারের লেনদেন।
নদী বন্দর / পিকে