আবারও সক্রিয় হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে প্রবাহিত হওয়া বায়ু। যে বায়ুর প্রভাবেই বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টি হয়। এই ‘মৌসুমি বায়ু’ সক্রিয় হওয়ায় এর প্রভাবে দেশের স্থলভাগে বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সারাদিন রাজধানী ঢাকা প্রায় বৃষ্টিহীন থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। বুধবার (৭ জুলাই) সকালেও কোথাও কোথাও হয়েছে বৃষ্টি। মেঘলা আকাশ তো রয়েছেই। বুধবার আষাঢ়ের ২৩ তারিখ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। সেখানে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।