ভারতে একদিনের ব্যবধানেই সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৪৩ হাজার ৭৩৩ জন। একই সময়ে মারা গেছে ৯৩০ জন। অথচ একদিন আগেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৭০৩। গত চার মাসের মধ্যে গতকাল প্রথমবারের মতো সংক্রমণ ৩৫ হাজারের নিচে নামতে দেখা গেছে। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছে ৫৫৩ জন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ আগের দিনের থেকে কম হয়েছে। এছাড়া দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.২৯ শতাংশ।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হলেও সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯২০। সেই সঙ্গে ৪৭ হাজারের বেশি কোভিড রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত কয়েক দিন ধরে কেরালায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৭৩, যা অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি। এছাড়া মহারাষ্ট্রে আরও ৮ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
কেরালা এবং মহারাষ্ট্রের মতোই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এই তিন রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ওড়িশা এবং আসামে ২ হাজারের বেশি মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন।
নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও এর দৈনিক হার টানা ১৬ দিন ধরে ৩ শতাংশের নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ কম হলেও ৩৬ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৬ কোটির বেশি মানুষ।
গত কয়েকদিনে রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমতে দেখা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯। একই সময়ে মারা গেছে চারজন। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। টানা ছয়দিন ধরেই দিল্লিতে সংক্রমণ একশ’র নিচে নেমে এসেছে।
নদী বন্দর / সিএফ