মাগুরায় চলতি বছরে পাটের ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা ভালো দামে পাট বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় পাটের চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় জেলার খাল-বিল ও নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা পাট কেটে জাগ দিতে শুরু করেছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় সদরে ১১ হাজার ৫০ হেক্টর, শ্রীপুরে ১০ হাজার ৮৫ হেক্টর, শালিখায় ৩ হাজার ৮৮৫ হেক্টর ও মহম্মদপুরে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫০ বেল পাট উৎপাদিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষিবিভাগ।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার চার উপজেলায় রবি পাট-১, জেআরও-৫২৪ এবং ও ৯৮-৯৭ জাতের পাটের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ভালোভাবে পাটচাষ করতে পেরেছেন।
সদর উপজেলার কাপাসহাটি গ্রামের কৃষক বাবুল শিকদার জানান, তিনি এ মৌসুমে দুই একর জমিতে পাটচাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ৮০-৯০ মণ পাট পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। পুরোদমে বাজারে পাট ওঠা শুরু হলে ভালো দামে পাট বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
অপর কৃষক সদরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের আজিজ শেখ বলেন, দুই বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছি। ফলন ভালো হবে ও ভালো দামে পাট বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন, চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অধিক জমিতে পাটচাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় সঠিকভাবে পাটচাষ সম্পন্ন করতে পেরেছেন কৃষকরা। ফলে ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি, কৃষকরা এবার পাটের ভালো দাম পাবেন।
নদী বন্দর / পিকে