কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। যারা কুরবানি দেন তারা প্রতি বছর গরু, ছাগল কিনেন। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক স্থানের হাটে উট, দুম্বাও বিক্রি হয় । কিন্তু যে পশু দিয়ে কুরবানি দেয়া হোক না কেন কোরবানির আগের দিনগুলোতে পশুটির যত্ন নিতে হবে। জেনে নেয়া যাক সেসব বিষয় সম্পর্কে।
কুরবানির গরু, ছাগল কিংবা অন্য পশুকে পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে। হাট থেকে গরু কিনে সম্ভব হলে দ্রুত গোসল করানো, বেশি করে পানি খাওয়ানো দরকার।
পশু কেনার পর হাট থেকে শুরু করে কুরবানি দেয়া পর্যন্ত পশুর যত্ন নেয়ার বিষয়ে পশু চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
কুরবানির হাট থেকে পশু কিনে দৌড়ে বাড়িতে নেয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়। কারণ ওইসব পশুর দৌড়ানোর অভ্যাস নাও থাকতে পারে। এতে গরু বা ছাগলটি ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। হাট থেকে বাড়ির কাছে হলে হেঁটে নেয়া যেতে পারে।
যদি হাট থেকে বাড়ি বেশি দূরে হয় তাহলে পিকআপ ভ্যানে করে পশু নেয়া উচিত। পশুর শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকলে বাড়িতে এনে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। পশু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় না রেখে পরিষ্কার স্থানে রাখতে হবে।
কুরবানির পশুকে জোর করে বেশি খাবার খাওয়ানো ঠিক নয়। পশুর সামনে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। আবহাওয়া গরম থাকলে পানির সঙ্গে স্যালাইন মেশানো যেতে পারে। তবে কোরবানির আগের রাতে বেশি খাবার দেয়া উচিত নয়।
নদী বন্দর / পিকে