মেঘনার বুকে শত বছর আগে জেগে ওঠা সবুজ শ্যামল গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর সোনারামপুর। এখানে বসবাস করে দুই সহস্রাধিক লোক। তাদের অধিকাংশের পেশা নদী থেকে মাছ ধরা। গত দুই-তিন বছরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে এই চর সোনারামপুরের শতশত একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দিন দিন ছোট আসছে চরের সীমারেখা।
মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে পানির প্রবল স্রোতে চর সোনারামপুরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন এই চরবাসী। এভাবে ভাঙতে থাকলে একদিন পুরো চরই নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।
দেখা গেছে, চরের পূর্ব পাশ দিয়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই-তিন বছরের ভাঙনে ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী এ চরের প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্রমেই পানির ধাক্কায় খসে পড়ছে তীর রক্ষা বাঁধের ব্লক। ভাঙনের পাশেই আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি জাতীয় গ্রিডলাইনের রিভার ক্রসিং টাওয়ার। এতে জাতীয় গ্রিডলাইনের বৈদ্যুতিক এই টাওয়ারটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে চরবাসীর। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জাতীয় গ্রিডলাইনের এই টাওয়ার ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ভাঙন পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজিং করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর / বিএফ