নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দ্রুত এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন চলছে সেতুর সড়ক পথে পিচঢালাইয়ের (কার্পেটিং) কাজ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারের স্প্যানের সড়ক পথে পিচঢালাই কাজ শুরু হয়।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়া মো. আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, প্রথম দিনে সেতুর ৬০মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০মিটার প্রস্থ অংশের পিচঢালাই কাজ করা হয়েছে। সেতুর কাজ শেষের পথে এখন। সড়ক পথে পিচঢালাই কাজ শুরু হয়েছে। পিচঢালাই শেষ হলে গাড়ি চলতে পারবে।’
এর আগে, ২০ জুলাই শেষ হয়েছিল সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। এদিন সেতুতে বসে যায় ২হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৯৪ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ ভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসালে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ডিসেম্বর।
একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। ২০ জুন শেষ হয় রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ। সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।