কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মধুপুর কলার হাট এলাকায় ও মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার মাছুদ রুমি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েরপুর বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিউল আজম (৪৮), তার মামাতো ভাই একই ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল ইসলাম (৫২) ও কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫)।
বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। পথিমধ্যে মধুপুর কলার হাটের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রড বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক এনামুল ইসলামের মারা যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউল আজমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
নিহত শিক্ষক শফিউলের ভাইরা স্বপন জানান, মাকে দেখার জন্য শফিউল তার মামাতো ভাই এনামুলের সঙ্গে সাতক্ষীরা থেকে কুষ্টিয়ার আমলার খয়েরপুরে আসছিলেন।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার মাছুদ রুমি সেতুর ওপর অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫) নামের এক বালু ব্যবসায়ী নিহত হন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ‘নাসির উদ্দিন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। হাইওয়ে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’