দীর্ঘ ২৩ দিন পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণার পর থেকেই ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো-রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে এ নৌরুটে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পদ্মা পার হতে দেড় ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। এতে করে কমেছে ফেরির দৈনন্দিন ট্রিপ। বেড়েছে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা।
বাংলাবাজার ঘাটের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের প্রচুর চাপ দেখা গেছে ঘাটে। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট যানবাহনের ভিড় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণার পর থেকেই ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে নৌরুটে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে এ নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহন পার হচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ