বৃষ্টি মুখরতায় আষাঢ় প্রকৃতিতে পা রেখেছিল। কিন্তু শেষের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তা এতটাই হারিয়েছিল যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের দেখা মেলে। সেই অবস্থা কাটছে। বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণের শুরুতেই বাড়ছে বৃষ্টি।
রোববার (১৮ জুলাই) পাঁচ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং তিন বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
এদিকে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায়, সেখানে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, সেখানে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একদিন আগে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নদী বন্দর / জিকে