1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
জেনে নিন গবাদিপশু কৃমিমুক্ত রাখার উপায় - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১
  • ১৬৩ বার পঠিত

আমাদের দেশে বর্তমানে গবাদিপশু পালন লাভজনক কাজ। পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তা এ কাজে অনেক শিক্ষিত যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু আমাদের খামারিরা গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে পরজীবী কিংবা কৃমির সমস্যায় পড়ছেন।

কৃমি এক ধরনের পরজীবী। যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা পশুর অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে পশুকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে দেয়।

গবাদিপশুর পরজীবী বা কৃমি সাধারণত দুই ধরনের। এগুলো হচ্ছে দেহের ভেতরের পরজীবী ও দেহের বাইরের পরজীবী। কৃমি বা পরজীবী আমাদের গবাদিপশু পালনের প্রধান শত্রু। কৃমি বা পরজীবীগুলো হচ্ছে কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি, প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উঁকুন, আঠালী, মাইট ইত্যাদি গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে।

কৃমির কারণে গাভীর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে। পাশাপাশি বাছুরগুলো পেট ফুলে গিয়ে স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস গবাদিপশুকে আক্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে।

গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায় জেনে নিন এবার-
গবাদিপশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড় থেকে দূরে করতে হবে।

jagonews24

পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।

তিন মাস অন্তর গবাদিপশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

গবাদিপশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে।

খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয়।

খামারের অনেক দূরে পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।

গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি দ্বারা আক্রান্ত পশুকে অ্যালবেনডাজল ইউএসপি ৬০০ মি.গ্রা., হেক্সাক্লোরোফেন ইউএসপি ১ গ্রাম, লিভামিসোল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৬০০ মি.গ্রা. এবং ট্রাইক্লাবেন্ডাজল আইএনএস ৯০০ মি.গ্রা. জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে। কর্কসিডিয়াতে সালফোনামাইডস, স্ট্রেপটোমাইসিন ও মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ট্রিপানোসোমা ও ব্যাবেসিওসিস তে ব্যাবকপ খাওয়ালে রোগ ভালো হয়।

উঁকুন, আঠালী ও মাইটে আক্রান্ত গবাদিপশুর শরীরে আইভারমেকটিন, সেভিন, নেগুভান ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করলে এসব পরজীবী থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করা যায়।

নদী বন্দর / জিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com