নোয়াখালীর চাটখিলে দাফনের পাঁচদিন পর ফারজানা আক্তার লাবণী (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে ওঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনির উপস্থিতিতে চাটখিলের নোয়াখলা গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লাবণী তার স্বামী ফয়সাল হোসেনের চাকরির সুবাদে নোয়াখালী সদরে (সুধারাম) ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সেই বাসায় মারা যান।
এসময় তার স্বামী দাবি করেন, লাবণী আত্মহত্যা করেছেন। এরপর সুধারাম থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে লাবণীর পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই চাটখিলের নোয়াখলাতে মরদেহ দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নিহতের শরীরে নির্যাতনের বিভিন্ন দাগ ও ক্ষতচিহ্নের ছবি ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে আদালতের আবেদন করা হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নির্দেশ দেন আদালত।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পাঁচদিন পর পরিবার আবার আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে