মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ২৭৪ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২৯১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন।
রোববার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ৯৭২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৭ হাজার ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মৃত ২২৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ১০৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৪, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ এবং বাড়িতে ১৪ জন মারা যান।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০হাজার ৫৮৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের কম বয়সী একজন, দশোর্ধ্ব ২ জন, বিশোর্ধ্ব ৮ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ২২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫০ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৩ জন, আশির্ধ্ব ৬ জন এবং নব্বই বছরের বেশি ২ জন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ২২৮ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৬৯, চট্টগ্রামে ৪০, রাজশাহীতে ২১, খুলনায় ৫০, বরিশালে ৬, সিলেটে ১১, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
নদী বন্দর / পিকে