কঠোর বিধিনিষেধও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার থামছে না।
বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর থেকে ঘাটে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ দেখা গেছে। হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ফেরিতে জরুরি প্রয়োজনীয় যান ছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও শত শত যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছেন। এদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে ঘাট সংলগ্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকরী উদ্যোগ দেখা যায়নি।
অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখি যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছেন। বিধি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া থেকে ঢাকা রুটে ভাড়ায় চালিতে মাইক্রোবাস চলাচল কর করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই তিনগুণ বেশি ভাড়া। এতে জরুরি প্রয়োজনে আসা যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
বরিশাল থেকে আসা শিশির নামের এক যাত্রী বলেন, ‘লকডাউন তো মানি, তয় আমাগো জীবন-জীবিকা কিভাবে চলবে। কাজের জন্য তো বের হতে হবে। আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে তাও কাজে যেতে হবে।’
রাসেল বেপারী নামের আরেক যাত্রী বলে, ‘মাওয়া থেকে ঢাকায় ৭০ টাকার ভাড়া এখন মাইক্রোবাসে ৪০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনি কাজ নাই অনেকদিন বসে আসি। আমাদের কথা কেউ চিন্তা করে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘নৌরুটে চারটি রোরো, তিনটি মিডিয়াম মিলিয়ে সাতটি ফেরি সচল রয়েছে। প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ পড়ছে। তবে শুধুমাত্র জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে।’
নদী বন্দর / এমকে