ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের আউশ ধানে রেকর্ড ফলন হয়েছে। ক্রপ কাটিংয়ে বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ। যা আউশ মৌসুমের অন্য যেকোনো জাতের চেয়ে অনেক বেশি।
গতকাল বুধবার ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নে চরমনসা গ্রামের সবুজ বাংলা কৃষি খামারে ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের প্রদর্শনী প্লটের ধান কর্তন ও মাঠ দিবসে এ তথ্য পাওয়া যায়। ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাঠ দিবসে ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক একে এম মনিরুল আলম ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চরমনসা গ্রামের কৃষক মো. ইয়ানুর রহমান বিপ্লবের ৮ হেক্টর জমির প্রদর্শনী প্লটে ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের বীজ বপন করা হয়েছিল এ বছরের ৮ এপ্রিল। চারা রোপন করা হয়েছিল ৩ মে। আর কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে গতকাল ২৮ জুলাই ধান কর্তন করা হয়েছে। জীবনকাল ১১০ দিন। হেক্টরপ্রতি ধানের ফলন ৭ মেট্রিক টন (বিঘায় ২৩ মণ)। আর চালের হিসাবে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৬০ টন।
শস্য কর্তনের ফলাফলে আরও জানানো হয়, ধান কাটার পর মাঠ থেকেই কাঁচা অবস্থায় ৭৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। খরচ বাদে হেক্টরপ্রতি কৃষকের লাভ ৭০ হাজার টাকা। সিই হিসাবে ৮ হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।
উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, চলমান ২০২১-২২ আউশ মৌসুমে ব্রি থেকে ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের বীজ সংগ্রহ করে কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ভোলায় ১৯৮ হেক্টর জমিতে ব্রি হাইব্রিড-৭ আবাদ হয়েছে। আগামী মৌসুমে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের ধান কর্তনের ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক। আগামী আউশ মৌসুমে এ জাতের ধান চাষ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আউশ মৌসুমে বেশি করে এ জাতের ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান মহাপরিচালক।
ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতটির আউশ মৌসুমে অন্য সকল জাতের চেয়ে ফলন বেশি। আগামী দিনে এ জাতটিকে বিএডিসির মাধ্যমে কৃষকের কাছে সরবরাহ করতে আমরা সচেষ্ট থাকবো।
নদী বন্দর / জিকে