পাহাড় ও নদীর মেলবন্ধনে নতুন পর্যটন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে কক্সবাজারে। চকরিয়ার মানিকপুর-সুরাজপুরে কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকের মতোই দেখা মিলছে যেন এক টুকরো স্বর্গের ছোঁয়া।
জানান দিচ্ছে, নতুন এক পর্যটনের গন্তব্য। যার জন্য মাতাহুমুরীর নদীর পাশে একশো একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন স্পট। সে সাথে প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার।
কক্সবাজারে মিলবে এবার স্বর্গের ছোঁয়া। শিশির ভেজা ভোরে নদীর নীল জলরাশি আর কুয়াশা ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া নৌকার প্রতি মুহূর্তের সৌন্দর্যই বিস্মিত আর অভিভূত করবে সবাইকে।
দু’পাশের বিস্তৃত সবুজ পাহাড় সে সৌন্দর্যে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা। মাঝে মাঝে কুয়াশার ফাঁকে সকালের সূর্য উঁকি দেয়। একসময় মিষ্টি রোদের আভায় দৃষ্টিতে মুগ্ধতা আনে।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় নতুন এ পর্যটন কেন্দ্র ‘নিভৃতে নিসর্গ’। দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, এখানে না আসলে বোঝাই যাবে না কত সুন্দর এ জায়গাটা। খুবই ভালো লাগছে এখানে এসে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আজিমুল হক আজিম জানালেন, এলাকাটি ভ্রমণের জন্য নিরাপদ। আগে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় সম্ভাবনাময় এ স্থানটি এতদিন অবহেলায় পড়েছিল।
বান্দরবানের লামা আর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর-সুরাজপুরের মাঝখানে বয়ে চলা মাতামহুরি নদীর এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সারা দুনিয়াকে জানানোর উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, এত সুন্দর একটি জায়গায় যেনো পর্যটকরা সহজে আসতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।
সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা বাড়ানো গেলে কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকের মতোই অপরূপ সৌন্দর্যের এই এলাকাটিতে বাড়বে প্রকৃতি প্রেমী মানুষের ভিড়।
নদী বন্দর / পিকে