সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো এবার এই পুরস্কার দেয়া হলো।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে সরকার কাজ করছে এবং সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি শিল্প খাতে ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন এসেছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশে নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপিত হচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। করোনাকালেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের নানামুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে পাশাপাশি শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে দাবি করে ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনার কারণে চলতি বছর ব্যবসায়িক-অর্থনৈতিক অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলাতেও উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৮৪ ভাগ অনানুষ্ঠানিক খাতকে আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়ে আসতে হবে। এভাবেই কর-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করতে পারলেই অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের ৪৬ শতাংশ অর্থছাড় দেওয়া সম্ভব হয়েছে জানিয়েছে বাকি অর্থছাড়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তবে, করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে ২ বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠান:
বৃহৎ শিল্প: প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, দ্বিতীয় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, তৃতীয় এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড, শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, অটো টেক্স লিমিটেড ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশনস লিমিটেড।
ক্ষুদ্র শিল্প: প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে কনসেপ্ট নিটিং লিমিটেড, এ ছাড়া মনোনীত করা হয়েছে এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লিমিটেড ও সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড। মাইক্রো শিল্পে মনোনীত হয়েছে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিস লিমিটেড এবং ক্রিমসন রেসেলা সি-ফুড লিমিটেড।
কুটির শিল্পে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস লিমিটেড, ইন্টেলিজেন্স কার্ড লিমিটেড এবং রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা। হাইটেক শিল্পে এই পুরস্কার পাচ্ছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউব এশিয়া লিমিটেড।
নদী বন্দর / জিকে