সম্প্রতি চাল ও ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ জনগণ। এ থেকে উদ্ধারে কথামালা পরিহার করে সরকারকে দ্রুত চাল ও ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে অধিকাংশ মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। নিম্ন আয়ের মানুষ জীবিকা হারিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের অনেকের আবার আয় কমেছে। এমনকি মধ্য আয়ের অনেকেও একই পরিণতি বরণ করেছেন। এর মধ্যে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে বন্যার প্রকোপ যুক্ত হয়ে দেশের বড় একটা অঞ্চলের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এমতাবস্থায় আয় কমার সঙ্গে যদি জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায় তাহলে সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস কী পর্যায়ে ওঠে তা সহজেই বোধগম্য। অতি সম্প্রতি চাল এবং ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ জনগণ।
তারা আরও বলেন, চাল এমন একটি পণ্য, এর মূল্যবৃদ্ধি পেলে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে শ্রমজীবী ও গরিব মানুষ। চালের দাম যাতে কোনোভাবে না বাড়ে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমদানি নয়, বরং খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে এবং সরকারি গুদামে প্রয়োজনীয় ধান-চাল মজুদ করেই বাজার স্থিতিশীল রাখার ওপর জোর দিতে হবে। খোলাবাজারে কম দামে পর্যাপ্ত চাল বিক্রিও পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
নেতৃবন্দ বলেন, সরবরাহ ঘাটতিসহ নানা অজুহাতে ভোজ্যতেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৩-২২ টাকা বাড়িয়েছে বিপণন কোম্পানিগুলো। অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের বাজার। মিল গেট, পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেলের দাম বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। নিত্যপণ্য ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
চাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব অনেক। এ অবস্থায় এসব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান তারা।