বরিশাল বিভাগে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১১ জন। অন্য নয়জনের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ভোলার চারজন, বরিশালের তিনজন, পটুয়াখালীর তিনজন এবং পিরোজপুরের একজন।
এদিকে, একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৭৯ জন। এদিন বিভাগের ছয় জেলায় এক হাজার ৬৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষারি হিসাবে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
রোববার (৮ আগস্ট) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনাসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে রোববার (৮ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত দুইজন এবং অন্য নয়জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ২৮০ জন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদবে কুমার দাস জানান, বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি বরগুনা জেলায়। এ জেলায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৪০ শতাংশ। বরগুনার ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
বরিশাল জেলায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ জেলায় ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ভোলা জেলায় ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
পিরোজপুর জেলায় ১৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
পটুয়াখালী জেলায় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
ঝালকাঠী জেলায় ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নদী বন্দর / বিএফ