1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মাটির হাঁড়িতে কবুতর পালন - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আইএমএফের ঋণের কিস্তিছাড় ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা গভর্নরের বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে শুধু ‘ভাসাভাসা নীতিগত’ আলোচনাই হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা ইসি নয়, সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা এনসিপির আ.লীগের বিচারসহ ৮ ইস্যুতে ঐকমত্য এনসিপি ও খেলাফত মজলিস রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়নের কাছাকাছি ‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ’
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১
  • ১৭৪ বার পঠিত

বরেন্দ্র অঞ্চলে কবুতরের বাসা হিসেবে মাটির হাঁড়ি এখনো টিকে আছে। এক সময় মাটির ঘরের কার্নিশে হাঁড়িতে ঝাঁক বেঁধে কবুতর বসে বাকবাকুম ডাক শোনাত। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই ডাক এখন খুব বেশি শোনা যায় না। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।

জানা যায়, নাচোলের কয়েকটি গ্রামে কিছু শৌখিন মানুষ তাদের শখ ও বাড়তি উপার্জনের আশায় এখনও কবুতর পালন করছেন। তাদের কল্যাণেই আজও টিকে আছে মাটির হাঁড়ি। এলাকার দোতলা ঘরের কার্নিশে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। নিচে পালন করছেন গরু, উপরে কবুতর।

jagonews24

নাচোল উপজেলার হাটবাকল গ্রামের আজিম আলী বলেন, ‘১৫-২০ বছর আগে আমার মা ১৫ টাকায় একজোড়া কবুতর এনেছিলেন। তখন থেকেই আমাদের বাড়িতে কবুতর আছে। এখন প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর। প্রতি মাসে ২৫-৩০ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করি। এক জোড়া বিক্রি হয় ২০০-২৫০ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটির ঘরের দোতলার কার্নিশে সারিবদ্ধভাবে বাঁধা আছে ২০০ মাটির হাঁড়ি। কবুতর ওই হাঁড়িতে যেন সহজেই প্রবেশ করতে পারে, সেজন্য হাঁড়ির নিচে লম্বা বাঁশ বাঁধা আছে।’

jagonews24

আলামিন নামে একজন বলেন, ‘কবুতরকে খাবার দেওয়া লাগে না। মাঠে গিয়েই খাবার সংগ্রহ করে। তাই খুব সহজেই কবুতর পালন করা যায়। এভাবে পালন করলে ঘর-বাড়ির চাল নোংরা করে। আমার বাড়িতে গলা, গোবিন্দ, গিরিবাজ, শিরাজ জাতের কবুতর আছে।’

উপজেলার ইসলামপুরের আনারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়িতে প্রায় ৭০ জোড়া কবুতর আছে। সংসারের খরচ চলে যায় কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে। আমার উপার্জন জমা করি। কবুতরগুলো মাঠে সরিষা, কাউন, আখরি ও খুদ খেয়ে থাকে। তবে ফসলে কীটনাশক ও মহামারির কারণে মারা যায় অনেক কবুতর।’

jagonews24

টিকইল এলাকার হোসেন আলী বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কবুতর কিনেছিলেন। কিন্তু একবার বাচ্চা বিক্রি করে অনেক টাকা পাওয়ার পর কবুতর বাড়াতে থাকি। এখন কবুতর বিক্রির টাকা দিয়েই চলে সংসার। এখন বাড়ির দোতলার কার্নিশে প্রায় ১৫০টি মাটির হাঁড়ি আছে। তাতে প্রায় ৯০ জোড়া বিভিন্ন জাতের কবুতর আছে।’

নদী বন্দর / সিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com