পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালুর পরও নৌপথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। এজন্য সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব।
নিয়মিত ড্রেজিং নিশ্চিত করা গেলে নৌপথে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে কোনো জটিলতা থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত দেশের মূল অংশের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে সংযুক্ত করে রেখেছে নৌ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোটে সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি ভারী ফেরির সাহায্যে যাতায়াত করছে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক।
ধারণা করা হচ্ছে, সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাড়বে যানবাহনের চাপ। এডিবির সমীক্ষা বলছে, সেতু চালুর পর ২০২২ সালে দিনে ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে সেতু দিয়ে। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৭ হাজার। এর সঙ্গে সেতুর দুই প্রান্তে নতুন নতুন বিনিয়োগ হলে ব্যবসা, বাণিজ্য, পর্যটনসহ নানা কাজে বাড়বে মানুষের যোগাযোগ। বিশেষ করে ভারী পণ্য পরিবহনের জন্য তখন বিকল্প উপায় হয়ে উঠবে নৌপথে চলাচল। একই সময়ে তাই নৌপথও যাতে চালু থাকে সে বিষয়ে আগে থেকেই চলছে প্রস্তুতি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, নদীতে নাব্য সবসময় রাখতে হবে। আর তা করতে হলে নৌ পরিবহনগুলোর যে চলাচলের ব্যবস্থা ট্রেজিং সেটা অবশ্যই রাখতে হবে। আমাদের সেটা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে। নৌ পরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণায়ের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় আছে। এমনকি বিবিএ বোর্ডও এখানকার সদস্য।
পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হবে। এতে দেশে জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশের পাশাপাশি আঞ্চলিক জিডিপি বাড়তে পারে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
নৌ যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে ফেরিঘাটগুলোকে অনেক বেশি আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ ব্যবস্থাপনাকে যুগপোযোগী করা গেলে পদ্মায় একসঙ্গে সড়ক, রেল এবং নৌ তিনটি পৃথক যোগাাযোগ সুবিধা অনেক বেশি শক্তিশালী করবে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে।
নদী বন্দর / পিকে