1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মিশ্র ফল চাষে সফল সাংবাদিক সোহেল - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১৪৬ বার পঠিত

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পটুয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে যেসব মিশ্র ফল বাগান তৈরি করা হয়েছে সেসব বাগান থেকে ইতিমধ্যে ফল সংগ্রহ এবং বিক্রি করে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা।

ফলে নতুন নতুন ফলের বাগান তৈরি হচ্ছে। এসব বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি ফল। ফলের এ মিশ্র চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশ থেকে ফল আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পটুয়াখালীর বাউফলের সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল। দেশের প্রথমসারির একটি সংবাদপত্রের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে মাঠে ঘাটে অনেক কৃষকের সফলতার গল্প তুলে এনেছেন। সেসব সফল কৃষকদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গত বছর নিজেই কৃষিকাজে যুক্ত হয়েছেন। নিজ এলাকায় ৪০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে গত বছর শুরু করেন ফলের বাগান।

jagonews24

এ বছর সেই বাগানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ছয় ধরনের ফল এসেছে। এর মধ্যে আছে লাল এবং হলুদ রঙের তরমুজ, মাল্টা, ড্রাগন, পেঁপে, লেবু এবং বিদেশি ফল রক মেলন। দুই বছরেই কৃষিতে সফলতার মুখ দেখায় এলাকার অনেকেই এ বাগান দেখে ফল বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

প্রথম দিকে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হলেও এখন অনেকটাই গুছিয়ে নিয়ে বাগান আরও বড় করার চিন্তা করছেন বলে জানান সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল। তিনি বলেন, পেশাগত জীবনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক কৃষকের সাথে পরিচয় হয়েছে। তাদের কাজের সফলতা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। ইতিমধ্যে আমার বাগানে ফল আসতে শুরু করেছে।

jagonews24

সোহেলে আরও বলেন, আশা করছি এখন ফলের ভালো দাম পাওয়া যাবে। বিশেষ করে এ বছর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বারি তরমুজ-১ এবং বারি তরমুজ-২ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি একই জমি থেকে কিভাবে বেশি চাষাবাদ করা যায়। সব মিলিয়ে কৃষিতে পরিকল্পিত বিনিয়োগ করলে সফলতার মুখ দেখা যায়, সেটি প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে ফলের এই বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার কথা জানান বাউফল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের এ ধরনের ফলের বাগান তৈরি করতে পারলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে জেলার বাইরেও ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব হবে।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com