করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সনদ থাকলেও বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদেরকে। এমন খবরে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে অনেক যুক্তরাজ্য প্রবাসীই পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। অনেকেই দেশে থাকা বন্ধু-স্বজনদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে যুক্তরাজ্য থেকে তার মোবাইল ফোনে অসংখ্য কল আসছে। যুক্তরাজ্যে প্রবাসী অনেকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা অনুরোধ করেছেন।
তবে ডা. সাজ্জাদ তাদেরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম প্রহর থেকে যুক্তরাজ্যে থেকে আসা যে কাউকে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কিংবা নিজ খরচে হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই’
এর আগে কেউ এলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ থাকলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটের ২২টি ফ্লাইটে সর্বমোট ২ হাজার ৩৩৩ জন যাত্রী দেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়াারলাইন্সের বিজি (৪০৮৯) ফ্লাইটে পাঁচজন যাত্রী করোনা নেগেটিভ (আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরি) সনদ ছাড়া আসেন। তাদেরকে আঁশকোনা হাজী ক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।
নদী বন্দর / পিকে