দ্রুত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
তারা বলেন, দেশে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। প্রয়োজনে শিফট পদ্ধতিতে বিভিন্ন কারিকুলাম প্রণয়ন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের জগত ছেড়ে ফেসবুক বা পাবজি গেমে কিংবা নেশার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ ভুগছে চরম মানসিক সমস্যায়। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষক সবাই উদ্বিগ্ন। তাছাড়া সবকিছু খোলা রেখে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কী অর্থ তা কারও বুঝে আসে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন ও মার্কেটসহ যখন সবকিছু খোলা, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাকি থাকবে কেন? শিক্ষার্থীরা না হয় ঘরে থাকে; কিন্তু তার পরিবারের বাকি সদস্যরা তো হাটে-মাঠে-ঘাটে সর্বত্র চলাচল করছে। সেই জায়গাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তোয়াক্কা নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে থাকলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে বা চালু করতে কখনো লকডাউন আবার কখনো শিথিলতা প্রদর্শন করা গেলে শিক্ষার্থীদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত প্রদান করা উচিত।
তারা বলেন, করোনাকালে শিক্ষার সঙ্কট কাটাতে হলে সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকাদান নিশ্চিত করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, গরিব পরিবারগুলোকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে ড্রপআউট শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। অটোপাসের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সঙ্কট নিরসন করা, বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি মওকুফ করা- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রকে শিক্ষা ধ্বংসের ভুল নীতি সিদ্ধান্তকে বাতিল করে শিক্ষার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। অন্যথায় মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার মূল্য অর্থহীন হয়ে যাবে।