রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বুধবার ঢাকা শহরের সব থানায় বিক্ষোভ করবে নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। এটা আমাদের কবর জিয়ারতের কর্মসূচি ছিল। এই হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ঢাকা শহরে থানায় থানায় বিক্ষোভ করবে প্রতিবাদ মিছিল হবে।’
হামলার ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা এখনো আন্দোলন শুরু করিনি, সরকার আমাদের প্রতিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।’
পুলিশের হামলার ঘটনায় আহতদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে না পারলেও সালাম বলেন, ‘অসংখ্য আহত হয়েছে এবং গ্রেফতার হয়েছে এখন পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণ তথ্য পায়নি।’
এই হামলার সময় পরিকল্পনা সচিবের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সালাম বলেন, ‘এটা সরকারের সাজানো ঘটনা, সরকার ভাঙচুর করেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক,সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিকদল যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোরশেদ আলম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতা সেলিনা সুলতানা নিশীতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় তেজগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান (টগর) (৪৬) ও আবুল কালাম (৬২) নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
নদী বন্দর / সিএফ