1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ভোলায় আখের বাম্পার ফলনেও বিপাকে ৩ হাজার কৃষক - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
  • ১৭১ বার পঠিত

ভোলায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকা তুলতে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।

ভোলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর জেলায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬১ হেক্টর আর চাষ হয়েছে ৭৯৪ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৩ হেক্টর বেশি।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে ভোলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলে আখ চাষ করেছেন প্রায় ৩ হাজার কৃষক। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে।

 

আখ বিক্রির উপযোগী হলেও দেখা নেই পাইকারদের। স্থানীয় কিছু ক্রেতা থাকলেও দাম কম বলায় ন্যায্যমূল্যে আখ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. সিরাজ, মো. জাকির হোসেন ও ফাতেমা জানান, তারা তিনজনই পৃথকভাবে ৪০ থেকে ৪৮ শতাংশ জমিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে আখ চাষ করেছেন। ক্ষেতে রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় আখের ভালো ফলন হয়েছে। বিক্রির উপযোগী হলেও পাইকার পাচ্ছেন না। দাম কম বলায় স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে তারা আখ বিক্রি করছেন না।

তারা আরও জানান, অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে আখ চাষ করেছেন। কিন্তু ন্যায্যমূল্যে আখ বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।

ভোলা সদর বাপ্তা ইউনিয়নের কৃষক মো. ফারুক জানান, তিনি একটি বেসরকারি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। আখ বিক্রির উপযোগী হয়েছে। কিন্তু বাজারের পাইকাররা কম দাম বলায় বিক্রি করতে পারছেন না। এজন্য তিনি এনজিওর টাকাও পরিশোধ করতে পারছেন না।

তিনি আরও জানান, আখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরে গিয়ে নিজেই খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন। সেখানেও খুচরা ক্রেতার সংখ্যা কম। এজন্য তিনি আখ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।

 

ভোলার শহরের নতুন বাজার এলাকার আখের আড়তদার মো. ইয়ামিন মিয়া জানান, তিনি ভোলার বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে আখ কিনে নিয়ে আসেন আড়তে। কিন্তু বর্তমানে পাইকারের সংখ্যা কম। ফলে বাজারে আখের চাহিদা কম হওয়ায় দামও কম।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সোহেল বলেন, কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা কৃষি বিপণন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে আখ বিক্রির বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। যদি কোনো কৃষক অন্য জেলায় নিয়ে আখ বিক্রি করতে চান তাহলে তাদেরও সহযোগিতা করা হবে।

নদী বন্দর / সিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com